বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বহিষ্কৃত গোকুল ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সুমন আহম্মেদ বিপুলসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী সালমা আকতার নিশা শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর থানায় এ মামলা করেছেন।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার ও মামলাটি ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বগুড়া সদরের গোকুল বন্দর এলাকায় সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি গোকুল উত্তরপাড়ার আফসার আলী সাকিদারের ছেলে। ওই সময় মিজানের লোকজনের হামলায় যুবদল কর্মী সালমান হোসেন লেদো গুরুতর আহত হন। পুলিশ তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত ১১টার দিকে মিজানের লোকজন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে ভাঙচুরের পর লেদোকে পিটিয়ে হত্যা করে। মিজানের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন ধারায় ২২টি মামলা আছে।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, মিজানুর রহমান মিজানের সঙ্গে আসামিদের দীর্ঘদিনের শত্রুতা ছিল। এর জের ধরে গোকুল ইউনিয়ন যুবদলের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক সুমন আহম্মেদ বিপুল ও তার সহযোগীরা ফোনে একাধিকবার হত্যার হুমকি দেন। স্ত্রীসহ তাকে হত্যাচেষ্টা চালান। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিজান গোকুল বন্দর এলাকায় সমর্থকদের সাথে চা পান করছিলেন। এ সময় ২২-২৩টি মোটরসাইকেলে আসা আসামিরা মিজানকে ঘিরে ফেলে। এরপর রামদা, চায়নিজ কুড়াল, চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে উঠে মিছিল করতে করতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুরুতর আহত মিজানকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে পুলিশ ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের রজাকপুর এলাকা থেকে মমতাজুর রহমানের ছেলে আহসান হাবিব (৩২) ও একই এলাকার মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে আবদুল হান্নানকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে।ডিবি ওসি মুস্তাফিজ হাসান জানান, নিহত মিজানের স্ত্রী সালমা আকতার নিশার মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।