ঢাকাMonday , 16 September 2024
আজকের সর্বশেষ খবর

জর্ডানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হার্ভার্ড-শিক্ষিত প্রযুক্তিবিদ জাফর হাসান

Link Copied!

জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাফর হাসানকে নিযুক্ত করেছেন। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কয়েকদিন আগেই অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর এই নিয়োগ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে ইসলামি বিরোধী দল কিছুটা অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে জানিয়েছে রাজপ্রাসাদ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

জাফর হাসান বর্তমানে রাজা আবদুল্লাহর দফতরের প্রধান এবং পূর্বে পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিনের কূটনীতিক বিশের খাসওয়ানেহের স্থলাভিষিক্ত হবেন। খাসওয়ানেহ চার বছর আগে নিয়োগ পেয়েছিলেন। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের আগ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।

গাজায় যুদ্ধের প্রভাবের কারণে বিনিয়োগে পতন ও পর্যটনের নিম্নগতিতে ক্ষতিগ্রস্ত জর্ডানের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে হার্ভার্ড-শিক্ষিত হাসানকে।রাজা আবদুল্লাহ তার নিয়োগপত্রে উল্লেখ করেছেন যে, দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং দাতাগোষ্ঠীর সহায়তায় মেগা প্রকল্প, বিশেষ করে জ্বালানি ও পানির ক্ষেত্রে উন্নয়নের ওপরই জর্ডানের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খাসওয়ানেহ তার মেয়াদে রাজা আবদুল্লাহর তত্ত্বাবধানে সংস্কারগুলো পরিচালনার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ঐতিহ্যগত রক্ষণশীলরা এই আধুনিকীকরণে বাধা দিয়েছে, যারা মনে করেন যে এই ধরনের উদার সংস্কার তাদের ক্ষমতা ক্ষুণ্ন করবে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নতুন সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে আইএমএফ নির্দেশিত সংস্কারগুলোকে ত্বরান্বিত করা এবং ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ নিয়ন্ত্রণে আনা। উচ্চ বেকারত্বের হার ও বিদেশি অনুদানের ওপর নির্ভরশীল এই দেশের স্থিতিশীলতা পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায় টিকে আছে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিরোধী দল মুসলিম ব্রাদারহুড এবং হামাসের মিত্ররা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তারা ৩১টি আসন জিতে নেয়, যা ১৯৮৯ সালের পর সর্বোচ্চ। এ কারণে তারা পার্লামেন্টে বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।যদিও ১৩৮ সদস্যের পার্লামেন্টে সরকারপন্থি সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রয়েছে, তবে ইসলামপন্থি বিরোধীরা আইএমএফ-সমর্থিত মুক্ত বাজারের সংস্কার এবং পররাষ্ট্রনীতির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন।

জর্ডানের সংবিধান অনুযায়ী, বেশিরভাগ ক্ষমতা রাজা আবদুল্লাহর হাতে থাকে। তিনি সরকার নিয়োগ ও পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারেন। তবে পার্লামেন্ট ভোটের মাধ্যমে একটি মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারে।

------------------------------------   এই সাইটে নিজস্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।