হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সোহেল চৌধুরী বাসচাপায় নিহত হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের হাটহাজারী অংশে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করা হয়। এসময় সড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান হয় এবং বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর রাউজান উপজেলার গহিরা এলাকায় হেফাজত নেতা সোহেল চৌধুরী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এ ঘটনায় মামলা না নেওয়া এবং বাস মালিক বা চালক সমিতির পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগে ৮ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় হেফাজত কর্মী ও স্থানীয় জনগণ সড়ক অবরোধ শুরু করেন। এতে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আজিজ, হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের মঞ্জুর, নিহতের পরিবার, স্থানীয় হেফাজত নেতৃবৃন্দ এবং বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়।
বৈঠকে বাস মালিক সমিতি নিহত সোহেল চৌধুরীর পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে ২ লাখ টাকা নগদ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে আরও ৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ আদায়ের আশ্বাস দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন জানান, নিহতের পরিবারের পাশে থেকে প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা করবে। আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয় এবং বর্তমানে সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে।