জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে ভাষণ দেওয়া এবং বৈশ্বিক সংস্থার দায়িত্ব পালন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য নতুন কিছু নয়। তবে এবার তার যুক্তরাষ্ট্র সফর বিশেষ কিছু। সবকিছু ঠিক থাকলে, ড. ইউনূস প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর, ভিন্ন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি হবে তার প্রথম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ। এবার তিনি অতিথি বক্তা হিসেবে নয়, বরং সরকারপ্রধান হিসেবে ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। তার এই সফর নিয়ে জাতিসংঘে বিশেষ উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, কারণ সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন তার দিকে।
ড. ইউনূস তার ভাষণে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর রাষ্ট্র পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবেন। জানা গেছে, তার মুখ থেকে নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা শুনতে আগ্রহী বিশ্বনেতারা।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ড. ইউনূস সারাবিশ্বে দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার পথিকৃৎ হিসেবে সুপরিচিত। তবে এবার তিনি এক ভিন্ন ভূমিকায়, সরকারপ্রধান হিসেবে হাজির হচ্ছেন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা তার সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জুলাই বিপ্লব এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাস নিয়ে তার বক্তব্য সারা বিশ্বের নজর কাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।