সশস্ত্র বাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
নতুন প্রজ্ঞাপনে ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন এবং তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সারাদেশে এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। তবে নতুন প্রজ্ঞাপনে সেনাবাহিনীর পরিবর্তে সশস্ত্র বাহিনীর (আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স) সকল কর্মকর্তাকে এই ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
এই প্রজ্ঞাপনের আওতায় সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮’-এর নিম্নলিখিত ধারাগুলোর অধীনে অপরাধ বিবেচনায় নিতে পারবেন: ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২।
জনপ্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগের প্রজ্ঞাপনে শুধু সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, তবে নতুন প্রজ্ঞাপনে সশস্ত্র বাহিনীর (আর্মি, নেভি ও এয়ারফোর্স) কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হলো।