বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ফজলুল হক বলেছেন, "ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্টের রক্তস্নাত আত্মত্যাগের বিনিময়ে দানবীয় দুঃশাসন কবরস্থ করে আমরা একটি নতুন স্বাধীনতা, নতুন বাংলাদেশ অর্জন করলেও শোষিত মানুষের মৌলিক অধিকার এখনো আঁধারের কবলে রয়ে গেছে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচার ও গণতান্ত্রিক অবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিএনপিসহ সকল জাতীয়তাবাদী শক্তির সংগ্রাম রাজপথে অব্যাহত থাকবে। লুটপাট, দুর্নীতি, এবং অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিএনপি কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ভয়ের দেয়াল ভেঙে গেলে কোনো শক্তিই জনগণকে দমাতে পারবে না। তিনি সাহস নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বৃত্তায়ন ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সমাজে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি আশ্বস্ত করেন, "বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে আছে।"
আজ বিকাল ৪টায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর নূর আলী মিঞাহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এস এম ফজলুল হক এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির নেতা সাফায়েত ইসলাম সাবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম চৌধুরী।
আরও বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ হারুন অর রশীদ চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপি নেতা মোঃ শফিউজ্জামান, একরাম হোসেন সেলিম, এম. খায়রুন্নবী, সিরাজুল ইসলাম রাশেদ, অ্যাডভোকেট এস. এইচ হাসান, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, হারুন ডিলার, খোরশেদুল আলম, মজিবুল হক বাবুল, সাইফুল আজম মানিক, বদিউল আলম মেম্বার।
সাবেক ছাত্রনেতা মাহির আজমল কফিল ও রহমত উল্লাহ চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মজিবুল আলম চৌধুরী, মুসলেম উদ্দীন চৌধুরী, গোলাম মোস্তফা, ডাঃ আজমল হাসান, আলমগীর তালুকদার, মোহাম্মদ আলমগীর, শাহজাহান তালুকদার, মোঃ মহিউদ্দিন, রফিকুল আলম, মঈনুল হোসেন, এমরান হোসেন।
ছাত্রনেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেজাউল করিম বাবু, শফিউল আজম চৌধুরী, রায়হান উদ্দিন, রহিম উদ্দিন রাজু, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাহাবুদ্দিন রানা, মোঃ আরমান, মইনুল হাসান মুন্না, আজিজ খান রোকন, সাইমন, মোজাম্মেল হক প্রমুখ।