চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক যুবককে বৈদ্যুতিক পিলারে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগে থানার সাবেক ওসি এবং হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রামের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হকের আদালতে ভিকটিম আব্দুল্লাহ আল মামুনের আত্মীয় মো. জসিম উদ্দিন মামলাটি করেন।
মামলায় উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে আছেন হাটহাজারী থানার সাবেক ওসি মো. লিয়াকত, রাঙ্গুনিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ, রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, হাটহাজারীর সাবেক সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ডা. আব্দুর রাজ্জাক। মামলায় এজহারভুক্ত ২৩ জন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী সুব্রত প্রকাশ দে গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য শুনে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ৬ মে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ১৩ দফা দাবির মিছিলে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় সরকারপন্থী অস্ত্রধারী ক্যাডাররা হামলা চালায়, যাতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে হাটহাজারীতে বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল করে। জুমার নামাজ শেষে মিছিলে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাদীর আত্মীয় আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে একটি বৈদ্যুতিক পিলারের সামনে দাঁড় করিয়ে গুলি করা হয়, যা তার মৃত্যুর কারণ হয়। ঘটনার পর ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রচেষ্টা বন্ধ করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়।
এজহারে আরও বলা হয়, আব্দুল্লাহ আল মামুন একসময় মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন, তবে জীবিকার তাগিদে ঘটনার সময় তিনি দিনমজুর হিসেবে কাজ করছিলেন। এ মামলার তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে বাদীপক্ষের পক্ষ থেকে।