বয়স ছাড়াও ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের মতো কারণে অনেকের ত্বকে আঁচিল দেখা দেয়। নারী-পুরুষ উভয়েরই বিশেষত মধ্য বয়সে এর প্রবণতা বেশি হলেও কম বয়সীদের ক্ষেত্রেও দেখা দিতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে আঁচিলের সংখ্যা ও আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে।
ভারতের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ও কসমেটোলজিস্ট ডা. স্নেহা ঘুনাওয়াত জানান, আঁচিল সাধারণত এমন স্থানে হয় যেখানে বারবার ঘষা লাগে বা চাপ পড়ে—যেমন চোখের ওপর, গলা, বাহুমূল, কুচকি ও কোমর। এগুলো ত্বকের রঙের সমান বা সামান্য গাঢ় হয়ে থাকে এবং দেখতে মসৃণ হলেও ভেতরে ফাইব্রোস কোষ, স্নায়ু ও রক্তনালী থাকে। আকারে মিলিমিটার থেকে কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। বড় আঁচিল প্রায় পাঁচ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়।
বেশিরভাগ আঁচিল উপসর্গহীন হলেও অনেক সময় ঘষা লাগার কারণে রক্ত পড়তে পারে বা সংক্রমণ হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কারণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, বংশগত কারণ ছাড়াও অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, বহুমূত্র রোগ এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া আঁচিল ওঠার ঝুঁকি বাড়ায়। একই সঙ্গে অ্যাক্যান্থোসিস বা হাইপারপিগমেন্টেশনের মতো অন্যান্য উপসর্গও এর সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
প্রতিকার
প্রাথমিক পর্যায়ে প্রসাধনী ব্যবহার করে আঁচিলের সমস্যা কমানো সম্ভব। তবে রক্ত পড়া, ব্যথা বা সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বর্তমানে লেজার বা ইলেক্ট্রো কাটারির মাধ্যমে সহজেই আঁচিল অপসারণ করা যায়। অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং এতে কোনো বড় ক্ষত তৈরি হয় না। প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে দ্রুত সেরে তোলা যায়।এ ছাড়া, ওজন নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম ও সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রেখে আঁচিল ওঠার ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা।