বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। কিন্তু, শুরুর দিকে আলিয়ার জীবন আরামদায়ক এবং সুখের ছিল না। কারণ, তার চেহারা অর্থাৎ দৈহিক গঠন নিয়ে খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না অভিনেত্রী। কিন্তু মনকে সামাল দিয়ে নিজের মত করে লড়াই গেছেন আলিয়া।
নিজের ফিটনেস ও আউটলুক নিয়ে কতটা সমস্যার মধ্যে ছিলেন, সে গল্পই তুলে ধরলেন বলিউডের এই সুন্দরী নায়িকা। বিশেষ করে তার ওজন নিয়ে বেশি ভুগছিলেন তিনি; যা নিয়ে সবসময় দুশ্চিন্তা গ্রাস করত আলিয়াকে।
নিজের চেহারা নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগায় পরিচালক করণ জোহরের ছবিতে কাজ করার সময় আতঙ্কে পড়েছিলেন আলিয়া। বিষয়টি বাবাকে ফোন করে পর্যন্ত জানিয়েছিলেন আলিয়া।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া জানান, তিনি তার মুটিয়ে যাওয়া শরীর নিয়ে লড়েছেন। এরপর ধীরে ধীরে তার ওজন কমতে থাকলে সেটিও অনুভব করেন তিনি। আলিয়ার কথায়, ‘আমি বেশ স্বাস্থ্যকর বাচ্চা ছিলাম, সেই সময়ে আমার জীবন নিয়ে খুব খুশি আমি। নিজেকে যেভাবে দেখছিলাম তাতে কিছু ভুল ছিল বলে আমি মনে করিনি। কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করার সাথে সাথে নিজের সম্পর্কে ধারণা পরিবর্তন হতে শুরু করে।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি তখন থেকে আমার এই শরীর নিয়ে সমস্যাগুলির সাথে লড়াই করেছি। আমি যতই ওজন কমাই না কেন, আমি সবসময় সংগ্রাম করেছি। কারণ আমার শরীরের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা ছিল’।
আলিয়ার সংগ্রামের পাশাপাশি জীবন উদ্যাপনের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ভিন্ন। তার থেকেও বড় কথা। অভিনেত্রীর বন্ধুরা, তাকে নানা উপদেশ দিতেন। জীবন উপভোগ করার পরামর্শ দিতেন। কিন্তু, ইন্ডাস্ট্রিতে শিল্পের প্রয়োজনে নিজের অনুভূতি মুছে ফেলতে পারেননি আলিয়া। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার বন্ধুরা বলত, আলিয়া, ডায়েট করা বন্ধ করতে হবে। একটু শান্ত হও, একটু বাঁচো, কিছু খাবার খাও। আর আমি বলতাম, একবার মোটা বাচ্চা মানে সবসময় মোটা বাচ্চা’।
উল্লেখ্য, আলিয়াকে সামনেই দেখা যাবে ভাসান বালার ‘জিগরা’ ছবিতে। এছাড়াও সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ ছবিতেও তাকে দেখা যাবে।